চাঙ্খারপুলের সেই আড্ডাটা আজ আর নেই , আজ আর নেই
কোথায় হারিয়ে গেল ব্রয়লারের রানগুলো সেই
আজ আর নেই...........................।।
তবিবুর পীরগঞ্জে ফরিদুল ঢাকাতে, নেই তারা আজ কোন খবরে
গ্র্যান্ড এর ফ্রয়েডিস্ট নিছার ডি আদিল ঘুমিয়ে আছে যে আজ কবরে
কাকে যেন ভালবেসে আঘাত পেয়ে যে শেষে পাগলা গারদে আছে শরিফুল আলালে
মুহিবটা ধুকছে দুরন্ত ক্যান্সারে জীবন করেনি তাকে ক্ষমা হায়।।
আপুটাই আজ শুধু সবচেয়ে সুখে আছে শুনেছি তো লাখপতি স্বামি তার
হীরে আর জহরতে আগা গোড়া মোড়া সে গাড়ী বাড়ী সব কিছু দামী তার
আর্ট কলেজের ছেলে তানভীরটা সান্যাল বিজ্ঞাপনের ছবি আঁকতো
আর চোখ ভরা কথা নিয়ে নির্বাক শ্রোতা হয়ে নিছার ডি আদিল বসে শুধু থাকতো।।
একটা টেবিলে সেই তিন চার ঘন্টা চারমিনার ঠোঁটে জ্বলতো
কখনো আল্লাহ কখনো নাসরিন এই নিয়ে তর্কটা চলতো
দিনে রাতে যেখানেই যে থাকুক কাজ সেরে ঠিক এসে জুটতাম
রাত দশটাতে শুরু করে জমিয়ে আড্ডা মেরে ভোর সাড়ে পাঁচটায় ঠিক উঠতাম।।
কবি কবি চেহারা কাঁধেতে ঝোলানো ব্যাগ মুছে যাবে কামরুলের নামটা
দুইটা কবিতা তার ছাপা হলেও পেলো না সে আসল প্রতিভার দামটা
অফিসের সোসালে এমেচার নাটকে শরিফুল আলাল অভিনয় করতো
টিভিরুম সভাপতি দিদারুল এসে রোজ কি দেখেছে তাই শুধু বলতো।।
সেই সাতজন নেই আজ টেবিলটা তবু আছে
সেই সাতটা রানের পিরিচ আজো খালি নেই
একই সে পিরিচে আজ এসেছে খাসির মাংস শুধু সেই সেদিনের মামাটা নেই
কত খাদক খেয়ে যায় এই চাঙ্খারপুলে কত খাদক খাবে বলে স্বপ্নে থাকে
কতজন এলো গেলো কতজনই আসবে, চাঙ্খারপুলটাই শুধু থাকবে।।
চাঙ্খারপুলের সেই আড্ডাটা আজ আর নেই ।।
ব্যাখ্যাঃ একদা, কবি সহ কবির সাতজন বন্ধু যারা প্রায় সবাই ভোজনরসিক ছিলেন । তারা প্রায়ই চাংখারপুলে যেত এবং কষিয়ে মুরগীর রান খেত । একসময় সরকার মুরগীর মাংসে বিষের অজুহাত দেখিয়ে বাজার থেকে সকল মূরগী উঠিয়ে নিল ফলে চাংখারপুল সহ পুরো ঢাকা শহর মুরগী শূন্য হতে লাগল । এদিকে খাদক দলও অভুক্ত থাকা শুরু করল । ক্রমান্বয়ে তারা ক্ষিপ্ত হতে হতে পুরো চাংখারপুলে আসাটাই বন্ধ করে দিল । মূলত কবি এই গানের আবির্ভাব ঘটিয়েছেন একটা মুরগি শুন্য ভবিষ্যত পৃথিবীর কথা চিন্তা করেছেন যেখানে মুরগী ছাড়া তাদের জীবন পুরাই অকল্পনীয় ।
কিন্তু সেই মুরগীই কবির বাড়া ভাতে উনুন দেয়। কবিকে এখনও নস্টালজিয়ায় ভোগায় ।
কোথায় হারিয়ে গেল ব্রয়লারের রানগুলো সেই
আজ আর নেই...........................।।
তবিবুর পীরগঞ্জে ফরিদুল ঢাকাতে, নেই তারা আজ কোন খবরে
গ্র্যান্ড এর ফ্রয়েডিস্ট নিছার ডি আদিল ঘুমিয়ে আছে যে আজ কবরে
কাকে যেন ভালবেসে আঘাত পেয়ে যে শেষে পাগলা গারদে আছে শরিফুল আলালে
মুহিবটা ধুকছে দুরন্ত ক্যান্সারে জীবন করেনি তাকে ক্ষমা হায়।।
আপুটাই আজ শুধু সবচেয়ে সুখে আছে শুনেছি তো লাখপতি স্বামি তার
হীরে আর জহরতে আগা গোড়া মোড়া সে গাড়ী বাড়ী সব কিছু দামী তার
আর্ট কলেজের ছেলে তানভীরটা সান্যাল বিজ্ঞাপনের ছবি আঁকতো
আর চোখ ভরা কথা নিয়ে নির্বাক শ্রোতা হয়ে নিছার ডি আদিল বসে শুধু থাকতো।।
একটা টেবিলে সেই তিন চার ঘন্টা চারমিনার ঠোঁটে জ্বলতো
কখনো আল্লাহ কখনো নাসরিন এই নিয়ে তর্কটা চলতো
দিনে রাতে যেখানেই যে থাকুক কাজ সেরে ঠিক এসে জুটতাম
রাত দশটাতে শুরু করে জমিয়ে আড্ডা মেরে ভোর সাড়ে পাঁচটায় ঠিক উঠতাম।।
কবি কবি চেহারা কাঁধেতে ঝোলানো ব্যাগ মুছে যাবে কামরুলের নামটা
দুইটা কবিতা তার ছাপা হলেও পেলো না সে আসল প্রতিভার দামটা
অফিসের সোসালে এমেচার নাটকে শরিফুল আলাল অভিনয় করতো
টিভিরুম সভাপতি দিদারুল এসে রোজ কি দেখেছে তাই শুধু বলতো।।
সেই সাতজন নেই আজ টেবিলটা তবু আছে
সেই সাতটা রানের পিরিচ আজো খালি নেই
একই সে পিরিচে আজ এসেছে খাসির মাংস শুধু সেই সেদিনের মামাটা নেই
কত খাদক খেয়ে যায় এই চাঙ্খারপুলে কত খাদক খাবে বলে স্বপ্নে থাকে
কতজন এলো গেলো কতজনই আসবে, চাঙ্খারপুলটাই শুধু থাকবে।।
চাঙ্খারপুলের সেই আড্ডাটা আজ আর নেই ।।
ব্যাখ্যাঃ একদা, কবি সহ কবির সাতজন বন্ধু যারা প্রায় সবাই ভোজনরসিক ছিলেন । তারা প্রায়ই চাংখারপুলে যেত এবং কষিয়ে মুরগীর রান খেত । একসময় সরকার মুরগীর মাংসে বিষের অজুহাত দেখিয়ে বাজার থেকে সকল মূরগী উঠিয়ে নিল ফলে চাংখারপুল সহ পুরো ঢাকা শহর মুরগী শূন্য হতে লাগল । এদিকে খাদক দলও অভুক্ত থাকা শুরু করল । ক্রমান্বয়ে তারা ক্ষিপ্ত হতে হতে পুরো চাংখারপুলে আসাটাই বন্ধ করে দিল । মূলত কবি এই গানের আবির্ভাব ঘটিয়েছেন একটা মুরগি শুন্য ভবিষ্যত পৃথিবীর কথা চিন্তা করেছেন যেখানে মুরগী ছাড়া তাদের জীবন পুরাই অকল্পনীয় ।
কিন্তু সেই মুরগীই কবির বাড়া ভাতে উনুন দেয়। কবিকে এখনও নস্টালজিয়ায় ভোগায় ।